মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি, :- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের
মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সহিদউল্লা (শানু মোল্লা) এর
বিরুদ্ধে ভুয়া মৃত্যু সনদ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুয়া এ মৃত্যু সনদ বাতিল এবং নামজারি পাওয়ার জন্য ওয়ারিশ দাবিকৃত মৃত
আজিতন বিবির মেয়ে ময়ূরযান জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক অভিযোগটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাকে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের
গগন হাওলাদার ১৯৬১ সালে মারা যায়। ওই সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম-মৃত্যু
লিপিবদ্ধ হতো না। এমনকি জেলা রেকর্ড রুমেও তার ওই সময়কালীন কোন তথ্য
খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ
সহিদউল্লা (শানু মোল্লা) মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে গগন এর মেয়ে
আজিতনকে ওয়ারিশ থেকে বাদ দিয়ে একতরফাভাবে মৃত গগন হাওলাদারে ছেলে মৃত
করমের পুত্র সেলিম হাওলাদারকে একটি ভুয়া মৃত্যু সনদ প্রদান করেন।
আরো জানা যায়, ময়ূরযান গগন হাওলাদারের ওয়ারিশ দাবি করলে তার মামাতো ভাই ও
মামারা তাকে ওয়ারিশ হিসেবে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তিনি বহুবার ইউনিয়ন ও
উপজেলা ভুমি অফিসে আবেদন-নিবেদন করেছেন। এসব অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
গত ২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখ ৩১.১০.৭৮৯৬.৯২০.০১.০৯.১৯.২৪৮৪ নং স্মারকে ওই
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদনের
মাধ্যমে সঠিক ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন উপজেলা সহকারী ভুমি
কমিশনার। কিন্তু তিনি ময়ুরজান বিবি গগনের সম্পত্তি পাবে না বলিয়া
প্রতিবেদন দাখিল করে এবং আজিতনকে ওয়ারিশ থেকে বাদ দিয়ে একটি ভুয়া
মৃত্যু সনদ দেন।
ভুক্তভোগী ময়ূরযান বিবি বলেন, এ ভুয়া মৃত্যু সনদ দ্বারা বিবাদীগণ ও চেয়ারম্যান
একজোট হয়ে আমাদেরকে নানার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য পায়তারা
করতেছে। তার এই মৃত্যু সনদ দ্বারা আমরা ব্যাপক হয়রানির শিকার হয়েছি। আমরা
এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ আজিজ সিকদার বলেন, আমি ২জন
চৌকিদারসহ সরেজমিনে তদন্ত করে জানতে পারি আজিতন মৃত গগন হাওলাদারের
মেয়ে। কিন্তু মৃত্যু সনদে তার নাম নেই। কিভাবে এই মৃত্যু সনদ দেওয়া হল তা আমার
জানা নেই।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সহিদউল্লা (শানু মোল্লা) বলেন, মৃত্যু সনদটি
ভুল হয়ে থাকলে সেটি বাতিল করা হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন,
বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা
গ্রহন করা হবে।
মোঃ আবদুর রহিম সজল
উপজেলা প্রতিনিধি
মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী
তাং-১৩.১১.২২
মোবাঃ ০১৭৭৯০৭৮২৭০.